পাবনা জেলার সদল্লাপুর ইউনিয়নের দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে —
বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রকে *মাথার চুল বেশি বড় রাখায়* ব্যবহার করা হয়েছে অযাচিত শাসন: সহকারী শিক্ষক‑ জিলাল উদ্দিন *পিটিয়ে আহত* করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১০ই নভেম্বর আহত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র বালিয়াডাঙ্গা এলাকার প্রবাসী বাবুল মির্জার ছেলে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া তাওহীদ (১৪) ।৯ নভেম্বর চুল না কাটার কারনে তাওহীদ হোসেনকে দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক জিলাল হোসেন বেধরক পিটিয়ে আহত করে।
সোমবারবার সকালে
দুবলিয়া স্কুলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকরা গেলে শিক্ষক জিল্লাল হোসেন নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করার সত্যতা পাওয়া যায়।
ওই ছাত্রের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রবিবার বিকালে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারে। পরিবারের সদস্যরা রাত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সকালে জেলা প্রশাসক মহোদয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করেন ।
ঘটনার বিষয়ে শিক্ষক জিলাল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে ওই শিক্ষক বাকি শিক্ষকদের নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মার মুখে আচরণ করে।
পরিবার এবং ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ সহকারী শিক্ষক জিলাল উদ্দিন প্রতিনিয়তই ছাত্রছাত্রীদেরকে বেধড়ক মারপিট করেন। এবং কথায় কথায় ক্লাস থেকে বের করে দেন। এমনও শোনা যায় ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের পাঠদানে অনিয়ম, সময়মতো পাঠদান না করা ও বিদ্যালয়ের দায়িত্বে অবহেলা করা।শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, বিদ্যালয়ের শ্রেণি‑সময়ে ওই শিক্ষক দূরে পাশের ইউনিয়নে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব নিয়েছেন। এতে নির্ধারিত শ্রেণিপাঠ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিভাবকরা শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষক‑দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।